চালু হচ্ছে বঙ্গোপসাগর এর তীর ঘেঁষে খুলনা টু সেন্টমার্টিন যাত্রা

Posted on | 2 Comments

কিছু দিন আগেও এডভেঞ্চার প্রিয় ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অন্যতম একটি চ্যালেঞ্জ ছিল নৌপথে ঢাকা হতে সর্ব দক্ষিণের সেন্টমার্টিন যাত্রা, যেখানে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা ছিল হাতিয়া হতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হয়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছানো। কিন্তু এবার তার চাইতে কিছুটা বেশী পেতে যাচ্ছে দেশের পর্যটকেরা, সরকারী উদ্যোগে চালু হচ্ছে খুলনা থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত নৌ-সেবা । শুধু দেশের কেন? বিদেশী পর্যটকদের জন্যও এই নৌ-সেবা। খুলনা থেকে ছেড়ে যাওয়া এই জাহাজে করে পর্যটকের দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় প্রতিটি পর্যটক আকর্ষক কেন্দ্রগুলোর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে পৌঁছে যাবে দক্ষিনের দারুচিনি দ্বীপ খ্যাত প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন এ। খুলনা হতে রওনা হয়ে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে এটি একে একে অতিক্রম করবে ভোলা-হাতিয়া-নিঝুমদ্বীপ-কুতুবদিয়া-পতেঙ্গা-মহেশখালী-কক্সবাজার-ইনানী-টেকনাফ এবং এরপর বঙ্গোপসাগর এর নীলজল চিরে চলে যাবে দেশের সবচাইতে চিত্তাকর্ষক পর্যটন কেন্দ্র সেন্টমার্টিন।

গত সপ্তাহে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি সহ খুলনার বিভাগীয় কমিশনার, বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবন, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন মালিক সমিতির কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি’দের সমন্বয়ে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পর্যটকদের সাড়া মিললে এই নৌ-সেবা’র পরিধি ভবিষ্যতে বিস্তৃত করে সেন্টমার্টিন হতে খুলনা হয়ে কলকাতা অতিক্রম করে চেন্নাই পর্যন্ত সম্প্রসারন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রথমে সরকারী মালিকানার জাহাজ দিয়ে এই সেবা চালু করা হলেও বেসরকারী ব্যবসায়ী কোণ সংগঠন এই রুটে জাহাজ চলাচলের আবেদন করলে তা যাচাই বাছাই করে অনুমোদন দেয়া হবে বলে এই সভায় জানানো হয়েছে। এই নৌ-সেবা’র সাথে সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম এরই মাঝে শুরু হয়েছে।

এই সেবা চালুর আগে উপকূলীয় অঞ্চলের তীর ঘেঁষে জাহাজ চলাচলের রুট ড্রাফট করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নৌপরিবহন অধিদপ্তরকে। এর পাশাপাশি বিদেশী পর্যটকদের আগমন এবং বহির্গমন সংক্রান্ত ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস চেকিং অন বোর্ড করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। “ট্যুর অপারেটর এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এর কর্মকর্তাগণ মনে করেন এই নৌ-সেবা চালু হলে দেশের পর্যটন শিল্পে তা এক যুগান্তকারী উন্মেষ ঘটাবে। একদিকে এতে এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে উপকৃত হবে, তেমনি দেশের পর্যটন শিল্পকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার জন্য এই পরিসেবা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। – TSDBD News Desk